নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডাকাত এনে শীমঙ্গলে ডাকাতি করায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য চন্দু ডাকাত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত চন্দু স্বীকারোক্তি দিলে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় দায়েরকৃত ডাকাতি মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সুদীপ্ত শেখরসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার গুলহাঁও এবং দুর্গানগর গ্রাম থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মহরম আলী (৩৭) ও রশিদ মিয়া (২৭) কে আটক করেন। আটককৃত ডাকাত মহররম আলী দুর্গানগর গ্রামের আব্দুল মতিন এর ছেলে ও মহররম আলী গুলগাঁও গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।
শ্রীমঙ্গল থানা সুত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট রাত ২টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের লাহারপুর বিহারী বস্তি গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের সদস্যরা আব্দুর রশিদসহ তার ছেলে ও স্ত্রীকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে এবং স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট প্রায় -১১ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় থানায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ডাকাত ধরতে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে মাঠে কাজ করে পুলিশের একটি টিম। পরে ডাকাতির এ ঘটনায় চন্দু মিয়া নামের এক ডাকাত পুলিশের হাতে আটক হয়। আটককৃত ডাকাত চন্দু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত মহররম আলী ও রশিদ মিয়াসহ আরও কয়েকজন ডাকাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এনে তারা সবাই মিলে শ্রীমঙ্গলে ডাকাতি করে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই ডাকাতকে শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডাকাত এনে শ্রীমঙ্গলে ডাকাতি করায় চন্দু ডাকাত
শেয়ার করুন