»সারা দেশ»বাহুবলে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
বাহুবলে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
জালালাবাদ বার্তা ডট কম ।
প্রকাশিতকাল:
স্বপন রবি দাশ,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বাহুবলে সবজি বিক্রেতার স্ত্রী ও আট বছরের মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর সোনার বালা চুরির ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
নিহতরা হলেন- বাহুবল উপজেলার দিগাম্বর বাজারের বাসিন্দা সঞ্জিত দাশের স্ত্রী অঞ্জলি রাণী মালাকার (৩০) ও তাদের মেয়ে পূজা রাণী দাশের (৮)।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: বাহুবল উপজেলার নোয়াঐ গ্রামের মহিব উল্লার ছেলে মনির মিয়া (২২), দিগাম্বর বাজারের টেনু মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান (৪০) ও সিলেটের চৌকিদীঘি এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে আমীর হোসেন (৩৫)।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বাহুবল উপজেলার দিগাম্বর বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেদিন সকালে বাজারের বাসিন্দা সঞ্জিত দাশের স্ত্রী অঞ্জলি রাণী মালাকার (৩০) ও তাদের মেয়ে পূজা রাণী দাশের (৮) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন অঞ্জলির বাবা কার্তিক দাশ বাহুবল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আমীর হোসেনকে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অঞ্জলিদের বাসায় থাকা দুটি সোনার বালা ও প্রায় দুই লাখ টাকা চুরি করার জন্য মনির, হান্নান ও আমীর হোসেন ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তিকে জানিয়েছেন আসামি আমীর। সেদিন অঞ্জলির স্বামী সঞ্জিত বাড়িতে ছিলেন না।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার তপন সিংহ জানান, ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রজিত সরকার আদালতে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় মনির মিয়া (২২) ও আব্দুল হান্নানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় এবং আমীর হোসেন পলাতক ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষ।