নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় বসে খুন-গুমের রাজনীতি শুরু করে আ.লীগ: মৌলভীবাজারে জামায়াতে আমির ডা: মো. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ পিছনের দরজায় বোঝাপাড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের শুরুতেই ক্ষমতায় বসেই তারা খুন গুমের রাজনীতি শুরু করে। তারা ক্ষমতায় আসার আগেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল।

তারা ক্ষমতা নিয়ে প্রথমেই তারা পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। আওয়ামী লীগ কাউকেই ছাড় দেয় নি। তারা জামায়াতের পর, বিএনপিকে ধরেছে, তারপর হেফাজত এবং দেশের আলেম উলামাকে অপদস্থ করেছে। সাংবাদিকদের খুন, গুম করেছে। জেলে পুরেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারী স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামি মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ভারত প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তারা আমাদের প্রতিবেশি। প্রতিবেশির প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই। আমাদেরকে আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকঘরে কী পাকানো হয় আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই না। আমাদের পাকঘরে উঁকি মেরে তাকানোর চেষ্টা করবেন না। আমাদেরকে আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন কিন্তু নিজের চেহারা একবার আয়নাতে ভালোভাবে দেখুন । আপনারা সেখানে যাদেরকে মাইনরিটি বলেন তাদের সাথে কেমন আচরণ করেন।

ডা. শফিক আরো বলেন, চক্রান্ত করে বিডিআরকে ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনীর নাম বদলে তারা বিজিবি দিল। বাাংলাদেশ রাইফেলস নামের ভেতরে একটি শৌর্য বীর্য আছে। এখন নাম দিয়েছে বর্ডারের চৌকিদার। তারা নাম বদলিয়েছে, ড্রেস বদলিয়েছে। বিদ্যুত বন্ধ করে রাতের অন্ধকারে খুনিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একটি বিশেষ দেশের প্লেন সেদিন কেন এসেছিল ঢাকায়? এরপর হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কিভাবে?

মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলীর পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি’র কক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, ঢাকা পল্টন থানার সভাপতি শাহীন আহমদ খান, সিলেট জেলা আমির মো. হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগরী আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট মহানগরীর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, সিলেট জেলা আমির মো. হাবিবুর রহমান, মহানগরী আমির মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জামায়াতের সাবেক আমির সিরাজুল ইসলাম মতলিব, মো. আব্দুল মান্নান, হবিগঞ্জের জেলা আমির কাজী মখলিছুর রহমান, জামায়াতের মৌলভীবাজার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, শিবিরের সিলেট মহানগরী সভাপতি শরীফ মাহমুদ,সদরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, কুলাউড়া আমির আব্দুল মুনতাজিম, রাজনগর আমির আবু রাইয়্যান শাহিন, মৌলভীবাজার পৌর আমির তাজুল ইসলাম, মৌলভীবাজার শিবিরের জেলা সভাপতি হাফিজ আলম হোসাইন, মৌলভীবাজার পৌর শিবিরের সভাপতি তারেক আজিজ।

এছাড়া সম্মেলনে বক্তব্য বন্ধু প্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, মৌলভীবাজার খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সবুর।

 

শেয়ার করুন