শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুর গ্রেপ্তারের নিন্দা ও দ্রুত মহসিন মিয়া মধুর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন।

বুধবার (২ এপ্রিল) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন স্বাক্ষরিত প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার চার বারের নির্বাচিত জননন্দিত সাবেক মেয়র জনাব মহসীন মিয়া মধু কে গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ জানাই। জনাব মহসীন মিয়া মধু বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক,পরোপকারী, তিনি দেশ ও সমাজ বিনির্মানে কাজ করে চলছেন। আমি অবিলম্বে তাঁহার মুক্তি দাবি করছি। এর আগে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবেদ রাজা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ফেইসবুকে সাবেক মেয়র মহসিন মিয়ার গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়ে তাকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। মহসিন মিয়া মধুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তি দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা জাতীয়কাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আশরাফ উদ্দীন জাহাঙ্গীর ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির তালুকদার।

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ ইদ-উল ফিতরের আগের রাতে শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ সড়তস্থ গদারবাজারে মহসিন মিয়া মধুর বিনালাভের বাজারে টমটম পার্কিংকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়র মহসিন মিয়ার বাসভবন থেকে মহসিন মিয়া মধুসহ ১৪ জন সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। পরে তাদের শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। এছাড়াও ওই দিন গাড়ি ভাঙচুর ও পরিবহন শ্রমিক সাগরের উপর হামলার ঘটনায় সাগরের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুসহ ১৬জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

শেয়ার করুন