যুক্তরাষ্ট্রে আটক হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতারনের আদেশ

ছবি : সংগৃহিত।

জালালাবাদ বার্তা সংবাদ:

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে দেশ থেকে বিতাড়নের আদেশ দিয়েছেন এক মার্কিন ইমিগ্রেশন বিচারক। স্থানীয় সময়  শুক্রবার (১১ এপ্রিল) লুইজিয়ানায় অনুষ্ঠিত দুই ঘণ্টার শুনানি শেষে ইমিগ্রেশন জাজ জেমি কোমান্স এই আদেশ দেন।

আদেশে বিচারক বলেন, “সরকার স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে যে খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে।” যদিও খলিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা, তারপরও এই রায়ে বলা হয়, তিনি চাইলে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বিচারক কোমান্সের রায়ের পর খলিলের আইনজীবিদের আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে আপিলের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য। এই সময়সীমার মধ্যে আবেদন না করলে খলিলকে সিরিয়া অথবা আলজেরিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

খলিলের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট বলেন, “এই বিতাড়ন আদেশ তার ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ। মাহমুদ খলিল আসলে রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে অভিবাসন আইনের অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন।”

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে খলিল ২০২৩ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এরপর থেকে তাকে লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে।

মাহমুদ খলিলকে দেশ থেকে বিতাড়নের আদেশে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী নুর আব্দাল্লা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে সাধারণ মানুষের ওপর চালানো গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া মানবাধি-কারের চরম লঙ্ঘন। এই আদেশ আমাদের পুরো পরিবারের ওপর ভয়াবহ আঘাত।”

অন্যদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম। এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি বলেন, “যারা যুক্তরাষ্ট্রকে ঘৃণা করে, সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের হয়রানিতে লিপ্ত হয়, তাদের বিতাড়ন করাই উচিত।”

রিপোর্ট: এস. ডি/ জালালাবাদ বার্তা।
শেয়ার করুন