আপ্লুত প্রিয়াঙ্কা, রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি খোলা আহ্বান

বিনোদন রিপোর্ট

বেশ ভালো মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন বলিউড-হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তারপরও তার চোখ সিক্ত হলো। রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে সোমবারের বিকালটা ভাগ করে নিলেন; এরপর ইন্সট্রাগ্রামের ওয়ালে লিখলেন প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা। সেখানে থাকল ভালোবাসা ও মমতার আবেগ। ছিল বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বানও।শুরুটা করলেন এভাবে, ‌‘আমি এখন কক্সবাজার। পৃথিবীর অন্যতম বড় শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসেছি। ২০১৭ সালের শেষ দিকে তাদের (রোহিঙ্গা) জীবনে অবর্ণনীয় ঘটনা ঘটে যায়। পৃথিবী দেখেছিল আদিবাসী নিধনের নিষ্ঠুর অভিযান। যেটা করা হয়েছিল মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যাদের ৬০ ভাগই শিশু।’
এরপর শিশুদের জন্য লেখেন, ‌‘অনেক মাস পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আছে। তারা জানে না, কখন তাদের পরবর্তী সময়ের খাবার আসবে! হয়তো ভাবছে, তারা কিছুটা হলেও মানিয়ে নিয়েছে। তখনই প্রকৃতি হামলা করছে। বৃষ্টিতে সব শেষ করে দিচ্ছে। পুরো প্রজন্মটির আসলে কোনও ভবিষ্যত দেখা যাচ্ছে না। আমি তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, সেখানে শুধু শূন্যতাই দেখেছি। তারা চরম মানবিক সংকটে আছে। তাদের আসলে বিশ্ববাসীর কাছ থেকে সাহায্য দরকার। দয়া করে এ কাজটি সবাই করুন। এটা্ তাদের সত্যিই খুব দরকার।’

বলিউড-হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। আজ (২১ মে) বিকালে তিনি টেকনাফের শামলাপুর যান। সেখানে শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কখনও তাকে বেশ আবেগিও হতে দেখা গেছে। কথা শুনতে শুনতেই চোখের পানি মুছেছেন। কখনও ঘটনা বর্ণনা করতে শিশুরাও কেঁদেছে।
খ্যাতনামা এ শিল্পী সকাল ৮টায় ঢাকায় পা রাখেন। তিন ঘণ্টার বিরতির পর তিনি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে কক্সবাজারে যান। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) -এর শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কার এই সফরের কারণ হলো, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য কাজ করা। সফরের উদ্যোগটি নিয়েছেও এই প্রতিষ্ঠানটি। কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা চার দিন অবস্থান করবেন। ২২ মে উখিয়ার বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর সফরের শেষ দিন ২৩ মে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

শেয়ার করুন