স্টাফ রিপোর্টার॥ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে গ্রাহকদের করণীয় বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)-এর উদ্যোগে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। দুই দিন ধরে পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সুত্রে এ মাইকিং করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্রে উপজেলার সবগুলি হাটবাজারসহ প্রতিটি গ্রামে এই মাইকিং করা হয়। মাইকিং প্রচারণায় গ্রাহকদের বলা হয় রাতে আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ চলে গেলে গ্রাহকরা দ্রুত ঘরের বাইরে বের হয়ে প্রথমে বৈদ্যুতিক খুটির সাথে যুক্ত ট্রান্সফরমার আছে কিনা তা দেখতে হবে। তাছাড়া একটু সতর্ককতার সাথে নিজ উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলে ট্রান্সফরমার চুরি অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে।
পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের এজিএম (কম) মো. উবায়দুল হক বলেন, স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রাতের আঁধারে খুটির বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি। ট্রান্সফরমার চুরি হলে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে আবার নতুন ট্রান্সফরমার কিনে প্রতিস্থাপন করতে হয়। এতে সময় ও টাকা দুই দিকে গ্রাহরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আগে প্রতি মাসেই গড়ে ৫ থেকে ৬টি ট্রান্সফরমার চুরি হত। মাঝে ট্রান্সফরমার চুরি প্রায় বন্ধ হয়েগিয়েছিল। সম্প্রতি আবার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়ন আদমপুর ইউনিয়ন এলাকায় আবার ট্রান্সফরমার চোরচক্র সক্রিয়। তাই জন সচেতনতায় গ্রাহকদের অংশ গ্রহনে ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে এই মাইকিং করা হচ্ছে।
পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মোবারক হোসেন সরকার বলেন, স্বল্প জনবল দিয়ে পবিসের পক্ষে ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। গ্রাহকরা একটু সতর্ক ও সচেতন হলেই ট্রান্সফরমার চুরি সম্ভব। তিনি আরও বলেন আকস্মিক বিদ্যুৎ চলে গেলে গ্রাহকরা বের হয়ে খুটির ট্রান্সফরমার আছে কিনা তা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখে নিতে পারেন। এতে ট্রান্সফরমার সম্পর্কে তত্য জানা যায় তার সাথে ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কোন সমস্যা হলো কিনা তাও জানা যায়। রাতে গ্রাহক বা এলাকাবাসী এভাবে সতর্ক ও সচেতন হলেই চট্রান্সফরমার চুরি সম্পূর্ণরুপে প্রতিরোধ সম্ভব। তাই গত কয়েকদিন ধরে সহযোগিতা কামনা করে গ্রাহক সচেতনতায় এই মাইকিং করা হচ্ছে। এই মাইকিং-এর ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলেও পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মোবারক হোসেন সরকার জানান।