গুগালী ছড়া সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কুলাউড়া উপজেলা মাগুড়া ও মনসুরের মধ্যবর্তি পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের মাগুরা হয়ে সাদেকপুরের পিছনে দিয়ে ছকাপন দিয়ে গিয়ে হাকালুক হাওরে প্রবাহিত হয়েছে মরা গুগালী ছড়াটি।

স্কুল চৌমুহনা হতে উছলা পাড়া ও রেল কলোনী-মাগুরা সহ দক্ষিন বাজার-উত্তরবাজার শহরের পানি বিভিন্ন নালা দিয়ে ঐ গুগালী ছড়ায় পড়তো কিন্তু ঐ ছড়াটি বিভিন্ন জনের দখলে ও আর্বজনা ফেলায় তা এখন ভরাট হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হচ্ছে।   

৮০ দশক ছেড়েই দিলাম, এই তো ৯০ দশকে পরে বর্ষাকালে গুগালী ছড়ার স্রোত দেখতে কুলাউড়া শহর মাগুরা সহ আঁশে পাশের কিশোর-তরুনদের আগমনের বহর লেগেই থাকতো, এ যেনো ছিলে ঘরের পাশেই আনন্দ বিনোদনের জায়গা। অনেকেই শকের বসে জাল কিংবা বরসি দিয়ে মাছ শিকার করতেন শুধুমাত্র একটু আনন্দ উপভোগ কররা জন্য, শিশু-কিশোররা দিতো সাঁতার।

কিন্তু ২০০৪/৫ পর এই একযোগের ভিতরেই কোনো কোনো অংশ কারো কারো দখলে চলে গেলো, আবার অনেকেই আবর্জনা ফেলে মৃতপ্রায় ছড়াটিকে ভরাট করে দিচ্ছে। আছেন জন প্রতিনিধি, আছে ভূমি কর্মকর্তা সহ উপজেলা প্রশাসন, সংসদ সদস্য তো রয়েছেনই। 

এরই মধ্যে পৌরসভা এ গ্রেডে উন্নীত হয়েছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কোথাও। এ নিয়ে কেউ কোনো উদ্যোগও নিচ্ছেন না। আর এই অংশটি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডেই পড়লেও নালা খননের জন্য অনুদান এসেছিলো সদ্য গত সাংসদ আব্দুল মতিনের কাছে।

এ ব্যাপারে ৮০ দশকের প্রিয় মূখ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্য নিউইয়র্ক প্রবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুঃখ করে কথা প্রসংঙ্গে বললেন গত কয়েকদিন আগে একটি কাজে জেলা প্রশাসক জনাব আজিজুর রহমানের সাথে কথা প্রসংঙ্গে এই ছড়াটির কথা উঠালে উনি বলেন সদ্য গত সাংসদের কাছে ফান্ড এসেছিলো এবং মৌলভীবাজার দুইয়ের সাংসদ আব্দুল মতিন সাহেব কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করেছেন কেনো তা উনি জানেন না, সেই বরাদ্ধকৃত টাকা এখনও ফান্ডেই আছে।

তাহলে এথেকে সহজেই উপলদ্ধি করা যায় ইচ্চা থাকলেই গুগালী ছড়াটিকে খনন করে আবারো শহর সহ এই এলাকা কে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা সম্ভব। কিন্ত কেউই উদ্যোগী হচ্ছেন না। 

ভূমি অফিসের কাজ থাকলেও তা দেখার সময় নেই কুলাউড়ার এসিল্যান্ড সাহেবের। নালা কে দখলমুক্ত করার দায়ীত্ব যে এসিল্যান্ডের হয়তো উনি ভূলে গেছেন, এরমধ্যে জেলার সেরা ভূমি অফিসারে সার্টিফিকেটও ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন তিনি। যদিও তা নিয়ে ফেসবুক অনেক ঝড় উঠেছে। 

উল্লেখ্য উপজেলা চেয়াম্যান জনাব শফি আহমেদ সলমান প্রতিনিয়ত চার-পাঁচবার এই ছড়াটির উপড় দিয়ে যাতায়াত করেন কিন্তু দেখেন কি না তা নিয়ে সমালোচনা একেবারে কম হচ্ছে না।

ধানের শিষের প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত মৌলভীবাজার দুই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সুলতান মনসুর সাহেব এই ছড়াটি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিবেন কিনা তাই এলাকাবাসী চেয়ে আছেন।

শেয়ার করুন