‘এমন একটা সময় গেছে ভোরবেলা ঘুম থেকে জেগে বাসা থেকে বের হতাম। পাঁচ থেকে ছয়টি শুটিং সেটে কাজ করতাম। নিজের শরীর কিংবা পরিবারের দিকেও তাকাতাম না। কাজ করতাম দর্শক ও নির্মাতাদের কথা চিন্তা করে। এখন কারও কথাই চিন্তায় আসে না। কারণ এখন আর হাতে কাজ নেই’- একান্ত আলাপকালে ছল ছল চোখে কথাগুলো বলেন এক সময়ের ব্যস্ততম খল অভিনেতা সাদেক বাচ্চু।
এক সময় ব্যাপক ব্যস্ত থাকা এ অভিনেতার এখন সময় কাটে পরিবারের সঙ্গে। পাশাপাশি লেখালেখিও করেন। বর্তমান সময় কেমন কাটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন বয়স হয়েছে। আগের মতো হাতে কাজও নেই। তাই বাসায় সন্তানদের সময় দিই। লেখালেখিও করি। এভাবেই সারা দিন কেটে যায়’।
একটা সময় এফডিসিতে দিনের অনেকটা সময় কাটাতেন। এখন সে সময়গুলো কতটা মনে পড়ে বা মনে পড়লে কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এফডিসিই তো আমার পরিচিতি দিয়েছে। এটা তো আমার একটি বাসস্থান। যেখানে দিনের অনেকটা সময় পার করতাম। এখন আর সে ঘরে যাওয়া হয় না। ভাবতে কষ্ট হয়। কিন্তু কী করার আছে। ঢাকাই সিনেমার এখন নিবু নিবু অবস্থা। তাই সব কিছু মেনে নিয়েই বেঁচে আছি।’ সিনেমাও এখন হচ্ছে না। যাই হচ্ছে তাতে আগের মতো অধিক শিল্পী দেখা যায় না।’ তবে কি আর অভিনয়ে দেখা যাবে না সাদেক বাচ্চুকে? এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেও অভিনয়ে হয়তো আর দেখা যাবে না আমাকে। সিনেমাও এখন হচ্ছে না বললেই চলে।’ এখনকার পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বল্প সময় নিয়েই এ পৃথিবীতে আসি। চলে যেতে হবে এ ভাবনা এখন মাথায়। তাই অভিনয়ে দেখা যাবে না খুব একটা। এখন নামাজ-কালাম পড়ি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি।’
এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। পেয়েছেন অনেক জনপ্রিয়তা, সম্মাননা ও মানুষের ভালোবাসা।
সাদেক বাচ্চু চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রামের সুমতি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।
সূত্রঃ যমুনা টিভি