• শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি.
    করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন মৌলভীবাজার জেলার ক্ষুদ্র খামারিরাও বিপাকে পড়েছেন। খামারে ডিম-দুধসহ ইত্যাদি উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। এতে খামারীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছিল।
    এই দু:সময়ে ক্ষুদ্র খামারিদের অর্থনৈতিকভাবে সচল রাখা এবং করোনা যোদ্ধাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
    শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.আশরাফুজ্জামান এতথ্য জানিয়েছেন।
    জানা গেছে ‘জেলা পুলিশে কর্মকর্তা পুলিশ-নন পুলিশের প্রায় সাড়ে ১২০০ সদস্য রয়েছেন। তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটি করে পুষ্টিকর ডিম সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। থাকবে দুধও। এতে জেলার ক্ষুদ্র খামারীদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন সংকটও অনেকটা কেটে যাবে। ক্ষুদ্র খামারিদের ডিম কিনে পুলিশ সদস্যদের খাবারের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
    পুলিশ সদস্যদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম যোগ হওয়ায় সুষম খাবারের বিষয়টিও নিশ্চিত হচ্ছে। জেলা পুলিশ মৌলভীবাজারের এই উত্তম অনুসূত চর্চাটি অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। মৌলভীবাজার জেলাকে করোনার থাবা থেকে রক্ষায় জেলা পুলিশ মৌলভীবাজার এভাবেই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দিনরাত নিরলসভাবে সাহসিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এটা চলমান কার্যক্রম, অব্যাহত থাকবে।
    এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘স্যারের (পুলিশ সুপার) এই উদ্যোগ আমরা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ফলে একদিকে যেমন ক্ষুদ্র খামারিদের কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়াটি সচল রয়েছে, তেমনি জেলা পুলিশের সদস্যরাও উপকৃত হচ্ছেন।’ ক্ষুদ্র খামারিদের রক্ষা ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রতিদিন প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে একটি করে ডিম আড়াইশ গ্রাম দুধ বরাদ্দ রয়েছে।
    তিনি বলেন, এই ডিম এবং দুধ স্থানীয় খামারিদের কাছ থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) স্যার সর্বপ্রথম ক্ষুদ্র খামারিদের রক্ষার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এ কার্যক্রম তিনি শুরু করেন । পরবর্তীতে সিলেট রেঞ্জের অন্যান্য জেলাসহ সারাদেশে পুলিশ জেলা পুলিশ কর্তৃক এই উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
শেয়ার করুন

Leave A Reply