• বিশেষ প্রতিনিধি.
  • কম খরচে মান সম্মত শিক্ষার ভেন্যু নিয়ে সিলেট নগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে কোন ও রকম অনীহা না আসে সেই লক্ষ্যে এপ্রিল থেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু করে  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
  • বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও মানসিক অবস্থায় বিশাল প্রভাব পড়ছে।  তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের পাঠদান।
  • করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।  ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেশির ভাগই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন।
  • সিলেট শহরের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান সার্ক ইন্টারন্যাশনাল কলেজ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কোভিড ১৯ এর কারণে যখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ঠিক তার পর থেকেই সার্ক স্কুলের ৩ টি ক্যাম্পাসের এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম অনলাইনে ক্লাসের কার্যক্রম শুরু করে ।  যা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুচারুভাবে অব্যাহত রয়েছে ।
  • গত ১০ জুন থেকে অনলাইনে পরীক্ষা শুরু হলে প্রথমদিকে কয়েকজন অভিভাবক আপত্তি করলেও এখন সবাই বেশ আনন্দিত। ঘরবন্দি জীবনে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক ভাবেই লেখাপড়া ও মানসিক অবস্থায় ভাটা পড়ার কথা কিন্তু সার্ক স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে তা মানসিক অবস্থার পরিবর্তনসহ লেখাপড়ায়ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

সার্ক স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কলেজ অধ্যক্ষ রোটারিয়ান মোহাম্মদ মহি উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান ও আমাদের প্রাণ। কোনো অবস্থায় তাদের লেখাপড়া বা মনোবল নস্ট হোক তা আমরা চাই না। তাই প্রতিনিয়ত তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি ।  অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সহযোগীতার ফলেই আমরা আমাদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে চালিয়ে যেতে পারছি। তবে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশেষ অসুবিধার কারনে যুক্ত হতে পারছে না, আমরা তাদেরও যুক্ত করার চেষ্ঠা করছি । এখন প্রতিদিন অভিভাবকগন ফোনে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। এই কার্যক্রমে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষকদেরও অনলাইনে নিয়মিত প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে ।  স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা, ধৈর্য ও দক্ষতার ফলেই আমাদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। তাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এবং তিনি মনে করেন সকল প্রতিষ্ঠান এভাবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের অপুরণীয় ক্ষতি কিছুটা হলেও লাগব হবে। অনলাইন এ ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ যারপরনাই খুশি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

Leave A Reply