পরিবেশের জন্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিহার করতে হবে। – পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী


  • ঢাকাঃ ৭ জুলাই, মঙ্গলবার

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন,  জলবায়ু পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহের অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী একটি স্থিতিশীল কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোভিড-১৯ সংকট থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই করার জন্য পরিবেশের জন্য ধ্বংসাত্মক  কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কোভিড-১৯ -এর কারণে সৃষ্ট সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে অনেক বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি আজ সন্ধ্যায় তার ঢাকাস্থ সরকারী বাসভবন থেকে “ওয়েবিনার: জলবায়ু ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের সমর্থনে কোভিড -১৯ সংকট থেকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা” বিষয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক উচু স্তরের রাজনৈতিক ফোরামের সাথে যৌথভাবে ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।

    পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “প্যারিস চুক্তি” এর পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন অগ্রাধিকার, অবকাঠামোগত চাহিদা এবং সামাজিক পরিস্থিতি অনুসারে বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্ব বিভিন্ন রকম । তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পরিবেশের বিপর্যয় রোধে ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার তুলনায় স্বল্প-মেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দক্ষতাকে অগ্রাধিকার প্রদান করলে চরম সামাজিক মূল্য দিতে হতে পারে। পরিকল্পনায় জনগণের আয়, কর্মসংস্থান, আবাসন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন না করলে বায়ুমণ্ডলে গ্রীনহাউস গ্যাসের (জিএইচজি) ক্রমাগত জমার বিষয়টি পরিবেশের সম্ভাব্য বিপর্যয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। যদিও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকাকালীন পরিবেশগত কিছু উন্নতি ঘটেছে এগুলি  দীর্ঘকালীন হবে না। মানুষের অপরিনামদর্শী কার্যকলাপ আগের মতো পুনরায় শুরু হলে এগুলি অস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী হোন লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ; কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, পরিবেশ ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ক মহাপরিচালক চুং; রুয়ান্ডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ভ্যালেন্টাইন রুগবাবিজা,  জামাইকের স্থায়ী প্রতিনিধি ই কোর্টনি রাট্রে; সবার জন্য টেকসই শক্তির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ প্রতিনিধি এবং ইউএন-এনার্জির কো-চেয়ার দামিলোলা ওগুনবিয়ী, জিয়াউল হাসান এনডিসি, সচিব এবং আহমদ শামীম আল রাজি, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন শাখা) পরিবেশ, বন  এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পার্শ্ব ইভেন্টের মডারেটর ছিলেন ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট, জলবায়ু ও অর্থনীতি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেন মাউন্টফোর্ড।

শেয়ার করুন