সিলেটের গোয়াইনঘাটে তৃতীয় দফা বন্যায় ও কোভিট-১৯ এর কারনে সারা দেশের এ ক্লান্তি লগ্নে গোয়াইনঘাট উপজেলায় পানি বন্দী ও গরীব অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ।
বুধবার (১৫জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার পূর্ব জাফলং ও পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের শিমুলতলা, পিরিজপুর, হুয়াউরা, ছোটখেল, কন্নীগ্রাম এলাকার কর্মহীন মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বানভাসি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও ত্রাণ সহায়তা হিসেবে তিনি শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরাঞ্চলে বসবাসরত নিম্নবিত্ত ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে ঝুঁকিপূর্ণ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের সাময়িক পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী মজুদ রয়েছে। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কেউ হতাশ হবেন না। পর্যায়ক্রমে সবার ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। তাই সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতি গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষকের আউশ ধান, বোনা আমন, বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতসহ প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ কৃষকের যে কোন ধরনের দুর্যোগকালীন সময়ে সরকার সব সময় পাশে ছিল। বর্তমান সময়ের এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতেও সরকার পাশে থাকবে।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বর্ষণে সারী, গোয়াইন, ডাউকি ও পিয়াইন নদী দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। পানি বন্দী হয়ে পড়ে উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি