লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষিতা গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতে জবানববন্দি দিয়েছেন গত শুক্রবার এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। এসময় বিচারক ছিলেন বিচারক শারমিন খানম নিলা। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের সঙ্গে ঘটা জঘন্যতম এ বর্বর ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
আদালত সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূকে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালতে তার পুরো জবানববন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে আনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর স্বামীকে বেঁধে মারধর করে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সাইফুরসহ অন্যরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলো এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
এদিকে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় অন্যতম আসামী ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমানের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একই মামলার আসামী ধর্ষক অর্জুন লস্কর। রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে রবিবার সকালে ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে ছাতক থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমানকে। সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জ ও অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে।
শেয়ার করুন