প্রতিনিধি.
ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে মৌলভীবাজারে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা ঘুরতে যাবে,তাই সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনার কারণে গেল দুই বছর একেবারেই পর্যটক শূন্য ছিলো। তবে এবার ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি থাকায় বিভিন্ন দর্শনীয়স্থানে অর্ধ লক্ষাধিক পর্যটক বেড়াতে আসবেন বলে আশাবাদী পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রীমঙ্গল পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র গুলো হলো, শ্রীমঙ্গল উঁচু-নিচু পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল রাধানগর গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ, চা বোর্ডের টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামসহ ৭০টি হোটেল,রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
লাউয়াছড়া উদ্যানের ফটকে ভেরাইটিজ ব্যবসায়ী দেলওয়ার মিয়া বলেন,এবার ঈদে ব্যবসা ভাল হবে। ছোট বড় রিসোর্টগুলো বুকিং শেষ। কোন রিসোর্ট খালি নাই।
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামের ম্যানেজার শামসুদোহা জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা এখানে আসবেন। তাদের সেবা দিতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথির জন্য রিসোর্টগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। ৭ মে পর্যন্ত সব রুম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
লাউয়াছড়া উদ্যানের সিনিয়র ট্যুর গাইড সৈয়দ রিজভী ও সোলেমান আসিফ বলেন, রমজান মাসে কোন পর্যটক ছিলো না। আশা করছি এবার ঈদে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দেশি ও বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটবে। তবে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।
শ্রীমঙ্গলে পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক জানান, ঈদে ছুটি বেশি। আশা করছি ব্যবসাও ভালো হবে। একই কথা জানালেন বালিশিরা রিসোর্টের চেয়ারম্যান শহিদুল হক।
শ্রীমঙ্গল ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের মহাব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, ‘আমাদের বুকিং প্রায় শেষ। ৪ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত চাপ বেশি থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজাার জোনের ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতরে বাড়তি নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে টহল জোরদার রয়েছে। বিশেষ করে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ টিম পর্যটন স্পটে টহলরত জোরদার থাকবে।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন,জেলার পর্যটন স্পটগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঈদের পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের সাথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।