ফাহিম ইসলাম, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনে সাঁকো থেকে খালে পড়ে শিশু শিক্ষার্থী নিশাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ওই দূর্ঘটনায় নিশাদের সহপাঠী ইয়াছিন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে ওমরাবাজ গ্ৰামের মরকখালী খালের উপর নির্মিত সাঁকোতে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নিশাদ ওমরাবাজ গ্ৰামের আবুজাহেরের ছেলে এবং নিখোঁজ ইয়াছিন ওই গ্ৰামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।তারা পশ্চিম ওমরাবাজ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।আকষ্মিক এই দূর্ঘটনায় দুই শিশু নিহত ও নিখোঁজের ঘটনায় গ্ৰামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ অহিদুল ইসলাম শিশুদের বাড়িতে গিয়েছেন। খালের পানিতে নিখোঁজ ইয়াছিনের দেহ খুঁজছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
পশ্চিম ওমরাবাজ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ছুটির পর শিশুরা বাড়ি ফিরে যায়। নির্দিষ্ট সময় মেনে বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকরা অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানের সূত্রধরে নিশ্চিত তথ্য মিলে যে,বাড়ি সংলগ্ন খালের উপরে সাঁকো পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে গেছে শিশুরা।খবর দেয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে। বিকেল ৪টার কিছু আগে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সাঁকো সংলগ্ন খালের পানিতে ডুবন্ত নিশাদের মরদেহে উদ্ধার করে।সন্ধ্যায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ইয়াছিনের সন্ধান মেলেনি।
বুধবার শেষ বিকেলে মরকখালী খালের উপর সাঁকো পাড় হয়ে নিশাদ ও ইয়াছিনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে উঠানে নিশাদের মরদেহ ঘিরে শোকাহত গ্ৰামবাসির ভীর। পাশের বাড়িতে শোকাহত ইয়াছিনের মায়ের আকাশভাঙ্গা আর্তনাদ। দুটি বাড়ির পাশঘেষে বয়ে যাওয়া মরকখালী খালের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযানে আছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং গ্ৰামবাসীরা।
নিহত নিশাদের বাবা আবুজাহের জানান, প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে খালপাড়ে দাঁড়িয়ে শিশুরা ডাক দিতো।বাড়ি থেকে বড়রা গিয়ে শিশুদের সাঁকো পার করে আনতো।আজ ওরা ডাকেনি।
চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম জানান, সাঁকোর উপর দিয়ে আমি শিশুদের বাড়িতে গিয়েছি। দুঃখজনক, শোক জানানোর ভাষা নেই। সুপারী গাছের সাঁকো। বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা কাঁদা মাটিতে ওই সাঁকো বড়দের জন্যই বিপদজনক। শিশুদের এই সাঁকো পাড়াপাড়ের সুযোগ নেই।গ্ৰামের মানুষ আগে থেকে সতর্ক হলে অনাকাঙ্খিত এই দূর্ঘটনা এড়ানো যেতো।