মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে ১০০৭ টি মন্ডপে অনুষ্টিত হবে দুর্গাপূজা


প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজার জেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১ হাজার ৭ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তদের আকর্শন বাড়াবে কুলাউড়ার কাদিপুরের সিমেন্টে তৈরি ১০০০ হাতের দুর্গা প্রতিমা। এছাড়াও জেলার সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপগুলো হলো- মৌলভীবাজার সদরের ত্রিনয়নী, মহেশ্বরী, আবাহনী, কুলাউড়ার কাদিপুর-শিববাড়ী মন্দির ও রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও দূর্গা মন্দির। সব মিলিয়ে এবার মৌলভীবাজার জেলায় ১০০৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে। ১০০০৭টি মন্ডপে পূজার ব্যয় আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মহিম দে। পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে জেলায় মিটিং ডেকে প্রত্যেক উপজেলার কমিটিকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মন্ডপে তাদের পক্ষ থেকে দুইজন করে সেচ্ছাসেবক সদস্য থাকবে। এটা পূজা মন্ডপের জন্য নিজস্ব পাহারা থাকবে। গতবছরের কুমিল্লার ঘটনার পর, এবারের পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর রয়েছেন। বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে, কোন সমস্যা আছে কি-না। মৌলভীবাজারের ত্রিনয়নী শিববাড়িতে এবারের আকর্ষণ সবচেয়ে উঁচু পূজা মন্ডপ তাছাড়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার তথ্য অনুসারে এবছর জেলার ১০০৭টি পূজা মন্ডপে শুধু মূর্তি গড়া বাবদ ব্যয় হবে আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার থেকে প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যা, টাকার সমপরিমাণে আনুমানিক প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা সার্বজনীন ৮৭১টি এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব। এবছর দেবী দুর্গার গজে আগমন ও দেবীর নৌকায় গমন। এদিকে, কুলাউড়ার কাদিপুর শিববাড়িতে এবারের দুর্গাপূজায় সিমেন্টের তৈরি এক হাজার হাতের দেবী দুর্গা স্থাপিত হয়ে পূজিত হবেন। বিশালাকার এ মূর্তি এবছর কাদিপুর শিববাড়ি মন্দিরের মূল আকর্ষণ। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর পূর্বেই আনুসঙ্গিক সব কাজ শেষ হবে। সিমেন্টের তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা প্রায় ২৩ ফুট উঁচু। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের যে সক্ষমতা আছে, সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করবো। জেলা ও উপজেলার পূজা কমিটির সাথে আমরা মিটিং করেছি একাধিকবার। আমরা জেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে সিকিউরিটি সরঞ্জাম দিয়েছি, মন্ডপে দু’জন সেচ্ছাসেবক এর জন্য দুইটা হলুদ সিকিউরিটি জ্যাকেট দিয়েছি সাথে তাদেরকে স্পেশাল প্ল্যাস্টিকের লাঠি দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে জেলায় সাড়ে ছয় শত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। র‌্যাব ও প্রায় সাত হাজার আনসার সদস্য মাঠে নিয়জিত থাকবেন।

শেয়ার করুন