বিধবার দোকান ভিটা জবর দখল

চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধিঃ

ভোলার চরফ্যাসনের দুলারহাটে রাতের আধাঁরে বিধবার দোকান ভিটে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত রহিম মাঝি নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।

রোববার গভীর রাতে দুলারহাট বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সদর রোডে ভিটে জবর দখলের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বিধবা নারী মেহেরুন নেছাসহ তার ভাই মহসিন ঘটনাস্থলে সোমবার সকালে ঘটনাস্থালে গিয়ে জবর দখলে বাধা দিলে দখলকারী রহিম মাঝির নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া বাহিনী শাহিন , শাহাবুদ্দিন নামের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় তাদের হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। দোকান ভিটে জবর দখলের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

ভুক্তভোগী বিধবা নারী জানান, দুলারহাট বাজারের দোকান ভিটের মালিক তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন। বাবার মরনণোত্তর ১৯৯৭ সনে ওই ভিটে তার মা ছকিনা খাতুনকে নোটারী পাবলিক এফিডেভিটের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করে দেন।ওই দোকানের আয় দিয়ে রোগাক্রান্ত মা ও তিনি ভরণ পোষন ও চিকিৎসা ব্যায় বহন করে আসছিলেন। ২০১৫ সনে বৃদ্ধ মা দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে গেলে ওই দোকান ভিটে দেখাশুনার কেউ না থাকায় রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ মা ছকিনা ওই দোকান ভিটেটি তার নামে লিখে দেন। তিনি সরকারী ভাবে ডিসি আর জমা দিয়ে ভোগ দখলে আছেন।

সম্প্রতি সময়ে দুলারহাট বাজারের খাল খননের কাজ শুরু হয়ে ভ্যাকু দিয়ে মাটি খননের ফলে তার দোকান ঘরের খাল সংলগ্ন পিছনের অংশ ভেঙে পড়ে যায়। তাদের পরিবারের সদস্যরা রোগাক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাঁত করে পার্শ্ববর্তী চর তোফাজ্জল গ্রামের রহিম মাঝি রাতের আধাঁরে তার দলবল নিয়ে তার দখলীয় ওই দোকান ঘর জবর দখল করে নেন।

সকালে তিনি এবং তার ভাই মহসিন জবর দখল করা দোকানের কাছে গেলে ওই জবর দখলকারীরা আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠান। দোকান ভিটে জবর দখলের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পলিশ।

অভিযুক্ত রহিম মাঝি জানান, ওই জমি খাস হওয়ায় তার এক আত্বীয় তাকে ওই ভিটেতে ঘর তোলার জন্য বলা হলে তিনি খালপাড়ের পিছনের অংশে ঘর তুলেছেন।

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দুলারহাট বাজারের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় মৃত খালটি খনন শুরু হলে সক্রিয় হয়ে উঠে একটি প্রভাবশালী চক্র মাজেদ হাওলাদার, রফিক , ঘুরানী , রাকিবসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়রায় খাল পাড়ের ঘরের পিছনের অংশ ভাঙ্গা হবেনা বলে প্রায় তিনশ ঘর মালিকদের কাছ থেকে ঘর প্রতি ২৫/ ৩০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছে। কিন্তু যারা প্রভাবশালীদের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারেনি তাদের দোকান ঘর গুলো ভেঙে ফেলে ফের অন্যলোকজন দিয়ে ওই দোকান ভিটে টাকার বিনিময় জবর দখল করা শুরু করেছেন প্রভাবশালীরা।

স্থানীয় নুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, খাল খননের সময় যেসব ঘর ভেঙে গেছে সেসব ঘর যাদের দখলে আছে তরাই ভোগ দখলে থাকবে। অন্যকারো জবর দখলের সুযোগ নেই।

দুলারহাট থানার ওসি আনোয়াররু হক জানান, দোকান ভিটে জবর দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান , রাতের আধঁরে ঘর তোলা হয়েছে। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ পাঠনো হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন