চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাটে রেখা বেগম নামের এক নারীকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর ও টেনেহিঁচড়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বর আহত ওই নারী বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার (২১ আগস্ট) চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের চরতোফাজ্জল গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে দুলারহাট থানা ভবনের পিছনে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় রেখার পিতা তছির আহাম্মদ বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি মালমলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন-হাফেজ মাজেদ, মোঃ লিটন ও রিনা। বুধবার (২৩ আগস্ট) এই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। মারধরের শিকার রেখা বেগম উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের চরতোফাজ্জল গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ছালাউদ্দিনের স্ত্রী। নির্যাতনকারী মোঃ মাজেদ, মোঃ লিটন ও রিনা একই এলাকার মোঃ হানিফ কন্ট্রেকটরের ছেলে। রেখার স্বামী মোঃ ছালাউদ্দিন জানান, দুলারহাট থানা ভবনের পিছনে ছালাউদ্দিন একটি পুকুর খনন করে কিছু মাছ চাষ করছে। পুকুরটির পাশে তার ওয়ারিশদের সমতল জমি রয়েছে। তাদের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা হাফেজ মাজেদের জমির পানি অপসারণ করার জন্য ছালাউদ্দিনের পুকুরের পাড় কেটে ফেলে। পুকুরটিতে মাজেদের জমির পানি না নেমে ছালাউদ্দিনের পুকুরের মাছগুলো তার ওয়ারিশদের সমতল জমিতে উঠে যায়। এই সুযোগে হাফেজ মাজেদ জাল দিয়ে মাছগুলো শিকার করে। বিষয়টি নজরে আসায় ছালাউদ্দিন প্রতিবাদ করলে সোমবার সকালে হাফেজ মাজেদ ও তার ছোট ভাই লিটন দুলারহাট থানা ভবনের সামনে ছালাউদ্দিনকে মারধর করে। ওই দিন বিকালে ছালাউদ্দিনের পুকুর পাড়ে হাফেজ মাজেদ ও তার বোন রিনা ফের ছালাউদ্দিনের স্ত্রী রেখা বেগমকে বেধড়ক মারধর ও টেনেহিঁচড়ে নির্যাতন করে। বুধবার (২৩ আগস্ট) রেখা বেগমকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনায় রেখার পিতা তছির আহাম্মদ বাদী হয়ে হাফেজ মাজেদ, মোঃ লিটন ও রিনাকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মারধরের শিকার রেখা বেগম ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলা দায়েরের পর হাফেজ মাজেদ, মোঃ লিটন ও রিনা পলাতাক থাকায় তাদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হক কামাল জানান, মারধরের ঘটনায় দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।