দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জ্যাকবের উন্নয়ন মোকাবেলা করাই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ।

চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধি: 

ভোলা-৪ আসনটি চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা নিয়ে গঠিত। ভোলার সর্বদক্ষিণের এ আসনটিতে পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি, জ্যাকব টাওয়ার হওয়ায় দেশব্যাপী পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে বেশিরভাগ সময় এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনটিতে কে কোন দলের প্রার্থী হবেন, কাকে কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে- তা নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যে রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ শুরু করে দিয়েছেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে বাড়িয়ে দিয়েছেন যোগাযোগ। দলের হাই কমান্ডের আনুগত্য লাভের জন্য নানা কৌশল নিচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যেমন প্রস্তুত, তেমনি প্রকাশ্যে না হলেও দলের অভ্যন্তরে বিএনপিও বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। যদিও মনোনয়নকে সামনে রেখে বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত। টানা তৃতীয়বার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আসনটিতে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন। তবে বিএনপিও চাচ্ছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। এ আসনটিতে মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে।

ভোলা-৪ আসনের চরফ্যাশন উপজেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা, ২১টি ইউনিয়ন, ৪টি থানা। চরফ্যাশন উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ২১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৮৫২ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৩ জন। অপরদিকে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় রয়েছে ৫টি ইউনিয়ন। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৭০ হাজার ৭৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন এবং নারী ভোটার হচ্ছে ৩৪ হাজার ২৮১ জন। সব মিলিয়ে ভোলা-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৬ জন।

ভোলা নির্বাচন অফিসে থাকা প্রাপ্ত নির্বাচনী ফলাফলের রেকর্ডে দেখা যায়, ভোলা-৪ আসনে ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সাদ জগলুল ফারুক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ এমএম নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বিএনপির কাছ থেকে এই আসনটি হাত ছাড়া হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালের সবশেষ নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

ভোলা-৪ আসনটিও আওয়ামী লীগের পুরাতন একটি ঘাঁটি। তবে ১৯৯৬ ও ২০০১ সাল পর্যন্ত এই আসনটি টানা ১০ বছর বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমের দখলে ছিল। ওই সময় বিএনপি জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর চলে অকথ্য নির্যাতন। এমনকি তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবও বিএনপির হামলা মামলা থেকে রক্ষা পায়নি। তার বাড়িতে পর্যন্ত বোমা হামলা করা হয়।

এরপর ২০০৮ থেকে সাবেক সংসদ মরহুম অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বিএনপির কাছ থেকে ভোলা-৪ আসন উদ্ধার করে তিনি নির্বাচিত হন।

টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হয়ে জ্যাকব তার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুলের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নপূরণে কাজ করেন। তিনি গত ১৪ বছরে চরফ্যাশনের আমূল পরিবর্তন করেছেন। চরফ্যাশনের সেই পুরনো চিত্র পাল্টে গেছে। বলতে গেলে চরকে বাস্তবে ফ্যাশনে পরিবর্তন করেছেন। তিনি চরফ্যাশন উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন থেকে ২১টি ইউনিয়নে রূপান্তর করেছেন। জ্যাকবের প্রচেষ্টায় চরফ্যাশন উপজেলায় ১টি থানা থেকে শুরু করে ৪টি থানা স্থাপন করা হয়।

এক সময়ের অবহেলিত এই দ্বীপে গত ১৪ বছরে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভোলার প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি মুকরির ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল যেন এক মিনি সুন্দরবনে পরিণত হয়েছে। চরফ্যাশনের প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের মধ্যে ২২৫ ফুট উচ্চতার সবচাইতে উঁচু জ্যাকব টাওয়ার। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উদ্বোধনের পর চরফ্যাশনে পর্যটনের নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। ইতোমধ্যে দৃষ্টিনন্দন টাওয়ার দেখতে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটক এখন চরফ্যাশনে আসছেন।

এছাড়াও কুকরি মুকরিকে পর্যটকদের জন্য আকৃষ্ট করতে অত্যাধুনিক সরকারি একটি রেস্ট হাউস স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে ইকো পার্ক নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বাজারে দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সংসদ সদস্য জ্যাকব চর‌্যফাশন বাজারের পিছনে পরিত্যক্ত একটি পুকুরকে সংস্কার করে ফ্যাশন স্কয়ারে স্থাপন করেছেন দৃষ্টি নন্দন মিউজিক ফোয়ারা। তার পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক। এছাড়া জ্যাকব চরফ্যাশনে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে শুরু করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কোট, পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন করেন। চরফ্যাশন ও মনপুরায় তার প্রচেষ্টায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়। তার উদ্যোগে চরফ্যাশনে ৫টি কলেজ নির্মাণ, বাংলাদেশের মধ্যে অত্যাধুনিক বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ, প্রায় ৪০০ মিটার মায় সেতু, প্রায় ৩৫০ মিটার সুলতানের খেয়া, ১৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মনপুরা ও চরফ্যাশনে সিসি ব্লকের কাজ করা হয়। গত ১৪ বছরে রাস্তাঘাটসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ হয় ভোলা-৪ আসনে।

চরফ্যাশনে এসব উন্নয়নমূলক কাজই শুধু নয়, সাংগঠনিকভাবেও সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিগত দিনের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। এসব কারণে ভোলা-৪ আসনে আওয়ামী লীগে প্রার্থী হিসাবে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিকল্প নেই। জ্যাকব ছাড়া এখন পর্যন্ত চরফ্যাশনে অন্য কোনো প্রার্থী মাঠে নেই। তিনি আগামীতে মনোনয়ন পেলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ আসনটিতে বিএনপি প্রকাশ্যে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা কোনো দিবস তেমন পালন করতে না পারলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যদিও মনোনয়নকে সামনে রেখে বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত রয়েছে।

বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের পাল্টা পাল্টি কমিটি গঠন ও দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ আসনটিতে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম পাঁচবার নির্বাচন করেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম নয়ন প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে নুরুল ইসলাম নয়নের অনুসারীরা পদ পদবি পাওয়ায় এ বিরোধ আরও চাঙ্গা হয়। যদিও নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারীরা নুরুল ইসলাম নয়নের প্যানেলের ছাত্রদলের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা কমিটি দিয়েছেন।

এসব বিরোধ নিয়ে ইতোপূর্বে ভোলা জেলা সদর ও ঢাকায় বিএনপির সভায় যোগ দেওয়ার সময়ে নাজিম উদ্দিন আলম ও নুরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পুনরায় এ আসন উদ্ধার করতে হলে নাজিমউদ্দিন আলম যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা। তবে নুরুল ইসলাম নয়নপন্থিরা মনে করছেন ফ্রেশ ইমেজের তরুণ বিএনপি নেতা ও কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্থানীয় সন্তান হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার দাবিদার।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন চরফ্যাশন-মনপুরায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। তারমধ্যে ৩টি নতুন থানা, ৭টি নুতন ইউনিয়ন, ৩টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ স্থাপন, নদী ভাঙ্গন রোধ, উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, জ্যাকব টাওয়ার, ফ্যাশন স্কয়ার, শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, আন্তর্জাতিক মানের বাসটার্মিনাল নির্মাণ, স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, যুগ্ম জেলা জজ আদালত, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সহকারী সিনিয়র জজ আদালত স্থানান্তর এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুকরি মুকরিতে আধুনিক মানের রেস্টহাউজ নির্মাণ আমার উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন।

এছাড়াও চরফ্যাশন-মনপুরা উপজেলায় রাস্তাঘাট, পুল কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসার অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ সহ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দ্বীপজেলা ভোলার সাগরকূলের সর্ববৃহৎ উপজেলা চরফ্যাশনকে জেলা করার দৌড়ে অনেকদূর এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জ্যাকব আরও বলেন, পৃথিবীর মধ্যে বড় আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। আমারকৃত উন্নয়ন, সততা ও দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করার মূল্যায়ন বিবেচনায় তৃণমূল মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দল আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দিবে এটা আমি শতভাগ আশাবাদী। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের প্রাপ্য তাদের হাতে পৌঁছে দিতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, দলীয় বিরোধ সাময়িক, দলের সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নেবে। তবে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। সেক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

নির্বাচনী সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম বলেন, আমাদের দলীয় দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দল অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দিবে। এ আসনের সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা শুধু দলের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।

শেয়ার করুন