চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধি:
ভোলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে সাইদুল ইসলাম (১৮) নামে এক কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরের মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় পাঁচজনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পাঁচদিন পরও কাউকে আটক করতে পারেননি। গত ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামের বশু ঢ়াড়ীর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার সাইদুল ইসলাম ওই গ্রামের সোহাগ সরদারের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে মো. আজগর, মোসলেউদ্দিন মাতব্বরের ছেলে মো. শাহানাজ মাতব্বর ও মরু মাঝির ছেলে মো. সোহেল, সিরাজ তালুকদার ও রুহুল আমীন। নির্যাতিত কিশোরের মা লাইলী বেগম বলেন, সাইদুল ইসলামকে নির্যাতন করা পাঁচজনই তাদের প্রতিবেশী। ঘটনার দিন পাঁচ অভিযুক্তদের মধ্যে শাহানাজ ও সোহেল সাইদুলকে তাদের বাসায় দাওয়াত দেয়। দাওয়াত খেয়ে সাইদুল বাড়িতে ফিরে আসার পথে অভিযুক্তরা বশু ঢ়াড়ীর চায়ের দোকানের সামনে সাইদুলের পথ গতিরোধ করে। সাইদুল সোহেলের ঘর থেকে তার বাটন মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে মিথ্যে অপবাদ দেয়। সাইদুল মোবাইল ফোন চুরি করেনি বলে তাদেরকে জানায়। একপর্যায়ে সোহেল, আজগর ও শাহানাজ বশু ঢ়াড়ীর চায়ের দোকানের সামনে সাইদুলকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়। সাইদুলকে নির্যাতনের একটি ভিডিও তারা মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে অভিযুক্তরা তাকে কিল-ঘুষি ও মাথার চুল ধরে নির্যাতন করছে। সাইদুলের মা আরও জানান, এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলেই তিনি ভোলা সদর মডেল থানায় পাঁচজনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ ঘটনার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেননি। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনায় যে অভিযোগ থানায় করা হয়েছে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই গোলাম মোস্তফার কাছে। এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, সাইদুল ইসলামের মা থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে সেই অভিযোগ মামলা রেকর্ড করার মতো না। গতকাল ও পরশুদিন সাইদুল ইসলামের মাকে তিনি মোবাইল করে বলেছেন থানায় গিয়ে এ ঘটনায় নতুন করে এজাহার দিতে। তারপর তিনি অভিযুক্তদের আটক করবেন। কিন্তু সাইদুল ইসলামের মা নতুন করে এজাহার না করায় তিনি অভিযুক্তদের আটক করছেন না।