»সারা দেশ»তানোরে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
তানোরে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
জালালাবাদ বার্তা ডট কম ।
প্রকাশিতকাল:
তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর পৌর সদর আলোচিত মাদক সম্রাট ফকিরকে আটকসহ মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা এবং প্রায় পাঁচশতাধীক নারী পুরুষের স্বাক্ষরিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর প্রায় ১ টা পর্যন্ত থানা মোড়ে মানববন্ধন ও থানার গেটে অবস্থান ওসি কে অভিযোগ এবং বিক্ষোভ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। থানার গেটের সামনে আন্দোলন কারী আপামর জনসাধারন রাস্তায় বসে পড়েন। দুপাশে শতশত যানবহন আটকা পড়ে।
থানার ওসি আব্দুর রহিম এসে আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। ওসি বলেন, আমরা আজ থেকেই অভিযান পরিচালনা করব। আপনাদের নিয়েই ঠাকুর পুকুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে মাদক নির্মুলের জন্য যাযা করনীয় সেটা করা হবে।
থানার গেট থেকে আন্দোলন কারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে এসে অভিযোগ দেন। পরে পরিষদের গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সভা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন থানা মোড় বনিক সমিতির সেক্রেটারি আফজাল হোসেন, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, সেবা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মাহবুর রহমান, পেশ ইমাম মাওলানা আরিফ হোসেন, ওয়ার্ড যুবদল নেতা খাইরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সরল, মনিরা বেগম, বিউটি বেগম, হাসিনা বেগম ও ফাতেমা বেগম। বক্তারা বলেন, মাদকের গডফাদার হঠাৎপাড়া গ্রামের ফকির, মতিউর,শাহিন, সাবিনা,রসুনারা, একরাম, শরিফা, পীর, লিটন, হাওয়া, ডলি, সহিদুল, জামাই আনোয়ার, লিটন, সুমি, সম্পা ও তাদের মদদদাতা শফিকুল সরদারকে জরুরি ভাবে গ্রেফতার করা হোক। এদের কে গ্রেফতার করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদক নির্মুল করা সম্ভব। এদেরকে যতদিন বাহিরে রাখা হবে ততদিন মাদক দূর হবে না। ফকির ও মতি নানা ভাবে হেরোইন বিক্রি করছেন। এখন তাদের বাড়িতে কেউ আসছেনা, তারা মোটরসাইকেল যোগে তাদের নিয়োজিত সাব ডিলারদের কাছে দিয়ে আসছেন। হক পরিবার মাদকের ব্যবসা করে অঢেল সম্পাদের মালিক। তাদের সম্পদের হিসাব নেয়ারও দাবি জানান বক্তরা।
এছাড়াও গ্রাম বাসীর পক্ষে ফকির হোসেন ১০ জন মাদক কারবারিকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে মাদকের আমদানি রপ্তানিসহ বিক্রি করে থাকেন তারা। হেরোইন সহ বিভিন্ন মাদকের কারনে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে পড়েছে, অকালেই ঝরে গেছে অনেক প্রান। মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করলে মেরে ফেলার হুমকি সহ মারধর করে থাকে। তারা মাদক বিক্রি করবেনা বলে ইউএনওর নিকট মুচলেকা দেন। গত ২৬ আগস্ট মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা দায়ের করেন।
তবে কয়েকজন মাদক কারবারি বলেন, তারা আমাদের কাছে বিপুল পরিমান টাকা দাবি করে, না দেয়ার কারনে তারা এসব করছে এবং আমাদের পরিবারের লোকজন কে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে। আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। মাদক বিক্রি বন্ধ করে দিব, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। আমরা স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চায়।
ওসি আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে পুলিশের সাড়াশি অভিযান পরিচালিত করা হয়েছে। কোন মাদক পাওয়া যায়নি। বিকেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ একসাথে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সবাইকে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। ঠাকুর পুকুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রাম থেকে মাদক নির্মুলের জন্য যা করনীয় পুলিশ প্রশাসন সেটাই করবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।